রাজার মতোই সেমিতে উঠল রিয়াল, রদ্রিগোর জোড়া গোল

কো’য়া’র্’টা’রে’র প্র’থ’ম লে’গ জি’তে চ্যা’ম্পি’য়’ন্স ‘লি’গে’র সে’মি’ফা’ই’না’লে ও’ঠা’র ল’ড়া’ই’য়ে বে’শ এ’গি’য়ে ছি’ল রি’য়া’ল মা’দ্রি’দ। সে’ই ম্যা’চ’টি চে’ল’সি রি’য়া’লে’র মা’ঠে’ই খে’লে’ছি’ল। ত’বে স্বা’ভা’বি’ক’ভা’বে’ই নি’জে’দে’র মা’ঠে তা’রা প্র’ত্যা’ব’র্’ত’নে’র গ’ল্প লি’খ’তে পা’র’তো। কি’ন্তু হ’য়ে’ছে

তা’র উ’ল্টো। যে’খা’নে রি’য়া’লে’র জ’ন্য ড্র কিং’বা ১ গো’ল ব্য’ব’ধা’নে হা’র’লে’ও সে’মি’তে ও’ঠা’র স’হ’জ স’মী’ক’র’ণ ‘ছি’ল, উ’ল্টো ২-০ গো’লে জ’য় নি’য়ে রা’জা’র ম’তো’ই তা’রা শি’রো’পা’ অ’র্জ’নে’র দি’কে এ’গি’য়ে গে’ল। এ’দি’ন জো’ড়া গো’ল ক’রে’ছে’ন ব্রা’জি’ল ফ’রো’য়া’র্ড ‘র’দ্’রি’গো।

ম’ঙ্গ’ল’বা’র (১৮ এ’প্রি’ল) স্টা’ম’ফো’র্’ড ব্রি’জে’ পি’ছি’য়ে থে’কে রি’য়া’ল’কে আ’তি’থ্য ‘দি’তে’ না’মে চে’ল’সি। গ্রা’হা’ম প’টা’রে’র বি’দা’য়ে’র প’র ফ্র্যা’ঙ্ক ল্যা’ম্পা’র্’ডের দ’ল’টি এ নি’য়ে চ’তু’র্থ ম্যা’চে না’মে। কি’ন্তু এ’খ’ন প’র্য’ন্ত ‘জ’য়ে’র দে’খা পা’য়’নি সা’বে’ক এ’ই ইং’লি’শ চ্যাম্পি’য়’নরা। এ’র

আ’গে চে’ল’সি স’ব’শে’ষ টা’না চা’র ‘ম্যা’চে হে’রে’ছি’ল ১৯৯৩ ‘সা’লে, ফ’লে তি’ন দ’শ’কে’র ম’ধ্যে এ’টি তা’দে’র প্র’থ’ম অ’ভি’জ্’ঞতা! প্’রি’মি’য়া’র লি’গে’র দ’ল’টি চ্যা’ম্পি’য়ন্স’ লিগে’ টি’কে থা’ক’তে নি’জে’দে’র উ’জা’ড় ক’রে দি’য়ে’ছে। ‘কি’ন্’তু ‘এম’ন’ চা’প কী’ভা’বে’ সা’মা’ল দি’তে’ হ’য়,

ভালোভাবেই জানা আছে কার্লো আনচেলত্তি শিষ্যদের। ইউরোপের সফলতম দলটি আরও একবার তাদের সামর্থ্য দেখাল। ম্যাচের একাদশ মিনিটে প্রথম ভালো সুযোগে এগিয়েও যেতে পারত চেলসি। পেনাল্টি স্পটের কাছে বল পেয়েছিলেন অরক্ষিত

এনগালো কান্তে। এত কাছ থেকেও এই ফরাসি মিডফিল্ডার শট লক্ষ্যে রাখতে পারেননি।এরপর পাল্টা আক্রমণে যায় রিয়াল। ২০তম মিনিটে দানি কারভাহালের কাছ থেকে ডি-বক্সে বল পেয়ে যান রদ্রিগো। তবে ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডের বুলেট গতির

শট পোস্টের বাইরের দিকে লেগে বেরিয়ে যায়। পরবর্তী সময়ে চেলসির একের পর এক আক্রমণ ঠাণ্ডা মাথায় সামাল দিতে থাকেন এডার মিলিতাও, কারভাহালরা। একইসঙ্গে প্রতি-আক্রমণে সুযোগ পেলেই তারা ভীতি ছড়াচ্ছিলেন স্বাগতিকদের রক্ষণে।

২৮ মিনিটে রিয়ালের আরেকটি সম্মিলিত আক্রমণ নষ্ট করেন চেলসি ডিফেন্ডার থিয়াগো সিলভা। ৩২ মিনিটে মদ্রিচের শট ঠেকিয়ে চেলসিকে বাঁচান গোলরক্ষক কেপা। ৪২ মিনিটে মদ্রিচের ক্রসে ঠিকঠাক পা লাগাতে পারলে দলকে এগিয়ে দিতে

পারতেন ভিনিসিয়াস জুনিয়র। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে রিয়ালকে নিশ্চিত গোলের হাত থেকে বাঁচিয়ে দেন গোলরক্ষক থিবো কোর্তোয়া। ৬ গজ দূর এই বেলজিয়ান গোলরক্ষক থেকে স্প্যানিশ ডিফেন্ডার মার্ক কুকুরেয়ার শট ঠেকান।

দ্বিতীয়ার্ধের অষ্টম মিনিটে প্রথম সুযোগ পায় চেলসি। কিন্তু এ যাত্রায় মিলিতাওয়ের দেয়াল টপকাতে পারেনি তারা। স্বাগতিকেরা একের পর এক সুুযোগ হাতছাড়া করলেও সে ভুল করেনি রিয়াল। ৫৮ মিনিটে দুর্দান্ত এক গোলে চেলসিকে বিদায়ের

পথ দেখিয়ে দেন রিয়ালের ব্রাজিলিয়ান তারকা রদ্রিগো। তিনি ডানপ্রান্ত থেকে বল নিয়ে চেলসির ডি-বক্সে ভিনিসিয়াসকে বল বাড়ান। আর ভিনির কাছ থেকে ফিরতি বল পেয়ে গোল করে দলকে সেমির পথে এগিয়ে দেন রদ্রিগো।

কোর্তোয়া ম্যাচের ৬৫ মিনিটে আরেকবার রিয়ালের ত্রাতা হয়ে ওঠেন। ৭০ মিনিটে পেনাল্টির আবেদন করে চেলসি। যদিও তাতে সাড়া দেননি রেফারি। ৮০ মিনিটে ফেদে ভালভার্দের কাছ থেকে বল পেয়ে নিজের ও দলের দ্বিতীয় গোলটি এনে দেন

রদ্রিগো। এই গোলই নিশ্চিত করে রিয়ালের সেমির টিকিট।এই জয়ে সর্বোচ্চ ১৪টি চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতা আনচেলত্তির দল আরেকটি শিরোপা জয়ের স্বপ্ন দেখতেই পারে। দুই লেগ মিলিয়ে রিয়ালের জয় ৪-০ গোলে। এর আগে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে প্রথম লেগে ২ বা তার বেশি গোলে এগিয়ে থাকা ১৯ বারের ১৮টিতেই পরের পর্বে গেছে রিয়াল। একই ফল তারা আবারও ফিরিয়ে আনল।